রোববার সকালের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে দেখা গেছে, রাশিয়া ব্যাপকভাবে আঘাত হেনেছে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলের লক্ষ্যে। এই হামলার বিশেষ দিক হলো, প্রথমবারের মতো রুশ সেনারা ইউক্রেনের মন্ত্রিসভার ভবনটিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্বিরিডেনকো এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যুদ্ধের শুরু থেকে এFirstTime ইউক্রেনের সরকারি ভবনে এমন হামলা ঘটলো। হামলায় ভবনটির ছাদ ও উপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চালাচ্ছেন। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো জানান, ড্রোন হামলায় ভবনটিতে আগুন ধরে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানায়, গত দিনটি ছিল রাশিয়ার দিক থেকে ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহারে সর্বোচ্চ, যেখানে আটশর বেশি ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মিসাইল ও ৫৬টি ড্রোন বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হেনেছে, যা এক দিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আলাদা করে জানানো হয়, এই হামলায় আটটি আলাদা জায়গায় ড্রোন ও মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ পড়ে। বিবিসির সাংবাদিক সারাহ রেইনসফোর্ড বলেছেন, সকালে তিনি দেখেছেন ইউক্রেনের স্বাধীনতা চত্ত্বর থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে, এবং কিছুক্ষণ পর রাশিয়ার দুটি ক্রুস মিসাইল দ্রুতগতিতে উড়ে আসতে দেখে তিনি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তিনি বলেন, সাধারণত ইউক্রেনের মহানগরাঞ্চলে এ ধরনের শক্তিশালী হামলা খুবই বিরল, কারণ সেখানে সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী। তবে রোববার সকালে রাশিয়া এত ড্রোন ও মিসাইল ছুড়েছে যে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তার পুরো সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। এই হামলায় রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলেও হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply